বিবাহ উপলক্ষে প্রীতিভোজ এর বদলে রক্তদান এর আয়োজন : অভিনব ভাবনা করোনাকালে

29th June 2021 3:34 pm বাঁকুড়া
বিবাহ উপলক্ষে প্রীতিভোজ এর বদলে রক্তদান এর আয়োজন : অভিনব ভাবনা করোনাকালে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  এ এক অন্য বিয়ের অনুষ্ঠান করণাময় পরিস্থিতিতে প্রীতিভোজ না করে রক্তদান শিবির এর মাধ্যমেই সম্পূর্ণ হল বিয়ে বাড়ি এই অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন সোনামুখী বিধানসভার বিধায়ক দিবাকর ঘরামি তার ভাইপোর বিয়েতে ।

ভাইপোর বিয়ের প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানের খরচ কমিয়ে কোভিড বিধি মেনে রক্তদান শিবির করে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিয়ের নানান লোকাচার পালনেই মধ্যেই সোনামুখীর কুরুমপুর গ্রামে রক্তদান শিবির ঘিরে ঘরামী পরিবারে সাজো সাজো রব। আত্মীয় পরিজন, পাড়া প্রতিবেশী থেকে শুরু করে বিধায়ক 'কাকা' দিবাকর নিজেও রক্ত দিলেন এদিনের শিবিরে। এমনকি প্রত্যেক রক্তদাতার হাতে একটি করে চারা গাছ তুলে দেওয়া হয় রক্তদান শিবিরের আয়োজক ঘরামি পরিবারের পক্ষ থেকে।

প্রসঙ্গত, সোমবার গোধূলী লগ্নে বিধায়ক দিবাকর ঘরামির ভাইপো সৌরভ ও পূর্ব বর্ধমানের ইলামবাজারের মীরা সাত পাকে বাঁধা পড়েন। পরের দিন মঙ্গলবার প্রথমবার শ্বশুর বাড়িতে পা রেখেই অভিভূত নববধূ মীরা। তার জন্য এমন চমক অপেক্ষা করছে, ভাবতেও পারেননি তিনি। এবিষয়ে স্বল্পভাষিণি নববধূ মীরা বলেন, খুব ভালো লাগছে। তাঁর শ্বশুর বাড়ির মানুষেরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলেই তিনি জানান।

ভাইপোর বিয়েতে রক্তদান শিবিরের অন্যতম আয়োজক বিধায়ক দিবাকর ঘরামী বলেন, করোনা আবহে ব্লাড ব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের সংকট তৈরী হচ্ছে। তাই প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান বন্ধ রেখে তারা রক্ত দান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন বলে তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।